- “আমি সত্যেরও মা, অসত্যেরও মা”
- “যেমন ফুল নাড়তে নাড়তে ঘ্রাণ বের হয়,চন্দন ঘষতে ঘষতে গন্ধ বের হয়, তেমনই ভগবত তত্ত্বের আলোচনা করতে করতে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়”
- “ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে কজনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কি করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে কজনে?”
- “ভগবান দর্শন বলো, ধ্যান বল, সবই মন । নিত্য ধ্যান করবে । কাঁচা মন কিনা? ধ্যন করতে করতে মন স্থির হয়ে যাবে । সর্বদা বিচার করবে | যে বস্তুতে মন যাচ্ছে তা অনিত্য চিন্তা করে ভগবানে মন সমর্পণ করবে”
- “একশো জনকে খাওয়াতে হবেনা কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুদার্তকে দেখলে তাকে একটু খেতে দিও”
- যদি শান্তি চাও,কারোর দোষ দেখোনা,দোষ দেখবে নিজের”
- “যখন মনে কোনো বিষয় উদিত হবে, জানবার ইচ্ছা হবে | তখন একাকী কেঁদে কেঁদে তাঁর নিকট প্রার্থনা করবে | তিনি সমস্ত মনের ময়লা ও কষ্ট দূর করে দেবেন আর বুঝিয়ে দেবেন”
- “যারা এসেছে, যারা আসেনি, যারা আসবে | আমার সকল সন্তানকে জানিয়ে দিও, আমার আশীর্বাদ সকলের উপর আছে”
- “কাজ করা চাই বইকি; কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে | একদন্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়”
- মনটাকে বসিয়ে আলগা না দিয়ে কাজ করা ঢের ভালো, মন আলগা হলে যত গোল বাধায়”
- “সৎসঙ্গে মেশো, ভালো হতে চেষ্টা করো | ক্রমে সব হবে”
- “আমাদের যা কিছু সবের মূল ঠাকুর, তিনিই আদর্শ । যা কিছু করো না কেন, তাঁকে ধরে থাকলে কোনোও বেচাল হবে না । ঠাকুর একমাত্র রক্ষাকর্তা, এটি সর্বদা মনে রাখবে । এটি ভুললে সব ভুল”
- “জানবে কেউ না থাক, তোমার একজন মা আছেন | আমি মা থাকতে ভয় কি?”
- “ঠাকুর বলতেন, ছিপ ফেলে বসলে কি রোজই রুইমাছ ওঠে? অনেক মাল-মশলা নিয়ে একাগ্র হয়ে বসলে কোনোদিন বা একটা এসে পড়ল, কোনোদিন বা নাই পড়ল, তাই বলে বসা ছেড়ো না । জপ বাড়িয়ে দাও”
- “যে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে সেই তাঁর দেখা পাবে”
- “ভালোবাসায় সবকিছু হয়, জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায়না”
- “সংসারে কেমন করে থাকতে হয় জানো? যখন যেমন তখন তেমন, যাকে যেমন তাকে তেমন, যেখানে যেমন সেখানে তেমন”
- বিশ্বাস আর নিষ্ঠাই মূল, এই দুটো থাকলেই হলো”
- জগৎকে নিজের করে নিতে শেখো | কেউ পর না, জগৎ তোমার”
- “যে অল্পেতে তুষ্ট থাকে, তার কাছে এই পৃথিবীর সব কষ্ট সহজ হয়ে যায়”
- “কেউ যদি তোমাকে ভালো না বলে তাতে মন খারাপ করোনা, কারণ এক জীবনে সবার কাছে ভালো হওয়া যায়না”
- “কষ্ট ছাড়া কখনো উন্নতি সম্ভব নয়”
- “ঈশ্বর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হওয়ার সাধ্য নেই”
- “যখন জীবনে সুসময় আসে, তখন ধ্যান চিন্তা আসে”
- “সব সয়ে যেতে হবে কারণ কর্মানুসারে সৎ যোগাযোগ হয়, আবার কর্মের দ্বারা কর্মের খন্ডন হয়”
- “ধ্যান, জপ ও ঈশ্বর চিন্তায় পাপ কাটে”
- “কাজের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যে জপ-ধ্যান না করলে, কি করছো না করছো বুঝবে কি করে?
- “দেখো মা, যেখান দিয়ে যাবে তার চতুর্দিকে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা সব দেখে রাখবে | আর যেখানে থাকবে সেখানকার সব খবরগুলি জানা থাকা চাই, কিন্তু কাউকে কিছু বলবে না”
- “ঠাকুর এবার এসেছেন ধনী-নির্ধন-পন্ডিত-মূর্খ সকলকে উদ্ধার করতে; মলয়ের হওয়ার খুব বইছে, যে একটু পাল তুলে দেবে স্মরণাগত ভাবে সেই ধন্য হয়ে যাবে”
- “যিনি ব্রহ্ম, তিনিই শক্তি আর তিনিই মা | দরকার নেই ফুল,চন্দন,ধূপ,বাতি, উপাচারের | মাকে আপন করে পেতে শুধু মনটাকে দেও তাঁরে”
মা সারদা দেবীর বাণী
Leave a comment
Leave a comment