ঘটোৎকচকে দ্রৌপদীর অভিশাপ-
পাণ্ডবদের বহুগুণময় রানী স্বল্প-মেজাজের জন্য পরিচিত ছিল! তিনি প্রায় প্রত্যেককে বা সমস্ত কিছুকে অভিশপ্ত করেছিলেন যা তাকে বিরক্ত করেছিল। এটি কুরু বংশ বা দরিদ্র নিরীহ কুকুর ও হতে পারে। তবে সব অভিশাপের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল তার সৎপুত্র ঘটোৎকচ এর দেওয়া অভিশাপ.
অর্জুন একটি স্বয়ম্বরে দ্রৌপদী কে জিতেছিলেন। মায়ের নির্দেশে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তাকে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্রৌপদী কেবলমাত্র এই শর্তে এই ব্যবস্থার সাথে একমত হয়েছিলেন যে, তাঁর স্বামীর কেউই অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত স্ত্রী এবং সন্তানদের তার বাড়িতে আনবেন না এবং তাকে রানির মর্যাদা দিতে হবে।ভীমের স্ত্রী এবং বংশের জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ ছিল রাক্ষসী হিদিম্বা । এটি পাণ্ডবদের অন্যান্য স্ত্রীকে হতাশ করেছিল।
ভীম ও হিদিম্বার পুত্র ঘটোতক্চ তাঁর বাবার সাথে দেখা করতে আসে । তিনি তাঁর মায়ের অনুরোধে দ্রৌপদী ব্যতীত প্রত্যেক প্রবীণকে সম্মান জানালেন। এই অঙ্গভঙ্গিতে দ্রৌপদী রেগে গিয়েছিল এবং তাকে অভিশাপ দিয়েছিল যে, তার স্বল্প জীবন হবে।
এই ব্যবহার হিডিম্বাকে ক্ষুব্ধ করেছিল, তিনি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর পুত্র রাজা ছিলেন ।হিদিম্বা দ্রৌপদীকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তার ছেলেরাও অল্প বয়সেই ছিন্ন হয়ে যাবে। সুতরাং এই দ্বন্দ্বটি তুচ্ছ সমস্যার কারণে তৈরী হয়েসিলো এবং এটি পাণ্ডবদের বংশের অবসান ঘটিয়েসিল।
দ্রৌপদী কুকুরকে কেন অভিশাপ দিয়েছিল- মাছের ছায়া দেখে মাছের চোখে লক্ষ্যভেদ করতে পারলে দ্রৌপদী বিয়ে করেন অর্জুনকে। এদিকে কুন্তীর ‘যা এনেছ ৫ ভাই ভাগ করে নাও’ কথায় কেলেঙ্কারী হয়ে গেল। যুধিষ্ঠিরও দেখলেন, মায়ের কথা শুনে অন্য ভাইয়েরা যেভাবে দ্রৌপদীর দিকে তাকাচ্ছে তাতে অনর্থ হতে পারে। তাই কালবিলম্ব না করে দ্রৌপদীকে ৫ ভাইয়ের বিয়ে করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন যুধিষ্ঠির।একজনকে সামলাতেই জিভ বেরিয়ে যায় সেখানে পাঁচ জন! যাইহোক, দ্রৌপদী সবাইকে সামলে খুখে ঘর-সংসার করছেন। তবে অনেক শর্ত এবং ধারা আছে। এরমধ্যে প্রধান শর্ত, যে স্বামী দ্রৌপদীর সঙ্গে সময় কাটাবেন তাঁর পাদুকা বা জুতো ঘরের বাইরে খুলে রাখতে হবে
কিন্তু কোনও এক সময়… পাদুকা বাইরে রেখেই দ্রৌপদীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এক পান্ডব। তখনই এক কুকুর খুলে রাখা জুতো নিয়ে পালায়। ফলে ঘরের বাইরে ফাঁকা হয়ে গেল। অন্য পান্ডব ভাবলেন, দ্রৌপদী ঘরে একাই আছেন। তিনি সাদা মনে ঘরে ঢুকতেই কেলো

দ্রৌপদীর তো মাথায় হাত! এত নিয়মে বাঁধার পরে এক স্বামী থাকা অবস্থায় অন্য স্বামী ঢোকে কী করে? অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেল সব দোষ ব্যাটা কুকুরের। মহা রেগেমেগে দ্রৌপদী কুকুর প্রজাতিকে অভিশাপ দিলেন, সমগ্র পৃথিবী তোদের সঙ্গম দেখবে আর মজা করবে।
দ্রৌপদীর কথা জেনে কেমন লাগলো অবশ্যই Comment Box এ জানাবেন। ধণ্যবাদ