Bharat RitualsBharat Rituals
  • ভারতীয় প্রথা
    • ভারতীয় প্রথা
    • ভুল-ভ্রান্তি
    • উৎসব
    • দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা
  • শাস্ত্রে বিজ্ঞান
  • মন্দির ও পীঠস্থান
  • পূজা অর্চনা
    • দেব-দেবী
    • পূজা অর্চনা
    • পূজার মন্ত্র
  • অন্যান্য
    • মাইথোলজি
    • মহাপুরুষ
    • শ্লোক ও উক্তি
Search
© 2023 Bharat Rituals. Content are collected from scriptures and internet.
Reading: অশ্বত্থামাকে কেন শ্রী কৃষ্ণ অভিশাপ দিয়াছিল? অশ্বত্থামার অমরত্ব কেন অভিশাপ?
Share
Sign In
0

No products in the cart.

Notification Show More
Aa
Bharat RitualsBharat Rituals
0
Aa
Search
Have an existing account? Sign In
Follow US
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
Bharat Rituals > All Posts > ভারতীয় প্রথা > অশ্বত্থামাকে কেন শ্রী কৃষ্ণ অভিশাপ দিয়াছিল? অশ্বত্থামার অমরত্ব কেন অভিশাপ?
ভারতীয় প্রথামাইথোলজি

অশ্বত্থামাকে কেন শ্রী কৃষ্ণ অভিশাপ দিয়াছিল? অশ্বত্থামার অমরত্ব কেন অভিশাপ?

BR Desk
Last updated: 2022/01/05 at 10:06 PM
BR Desk 584 Views
Share
7 Min Read
SHARE

মহাভারতের অশ্বত্থামাকে সবাই জানে গুরু দ্রোণাচার্যের পুত্র, সাহসী যোদ্ধা এবং দুর্যোধন নেতৃত্বাধীন কৌরব সেনার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই অশ্বত্থামা।

শিবের তপস্যা করে তাঁর বরদানে মহা-শক্তিশালী পুত্রলাভ করেছিলেন দ্রোণাচার্য। গুরু দ্রোণাচার্যের পুত্র ও সাত চিরঞ্জীবীদের একজন ছিলেন এই অশ্বত্থামা। স্বয়ং দেবতা শিব নিজে তাকে অমরত্বের বর দিয়েছিলেন। দেবাদিদেবের বরে অশ্বত্থামার কিছু অনন্য শক্তি ছিল। অন্যদের তুলনায় বেশি ক্ষমতাশালী হওয়ার পাশাপাশি, অশ্বত্থামার কপালে একটি রত্ন ছিল। যে কারণে, তাঁর মধ্যে দৈবিক শক্তি ছিল। অশ্বত্থামা ছিলেন অজেয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ব্যথা ও শ্রান্তি তাঁকে ছুঁতে পারত না। সর্বোপরি, তিনি ছিলেন ‘চিরঞ্জিবী’। মহাদেবের বরে তিনি অমরত্বলাভ করেছিলেন।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন দ্রোণাচার্য-পুত্র। দুর্যোধনকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখে, অশ্বত্থামা পণ করেছিলেন, পাণ্ডবদের থেকে তিনি এর প্রতিশোধ তুলবেন। একইসঙ্গে বাবাকে ছলের মাধ্যমে হত্যা করার বদলাও নেবেন।

মহাভারতের মহাবীর ছিলেন অশ্বথামা। মনে করা হয়, গোটা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ফয়সালা একা করে ফেলার ক্ষমতা ছিল তাঁর। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপে মর্মান্তিক পরিণতি হয় তাঁর। মহাভারত অনুযায়ী অমরত্ব লাভ করা অশ্বথামা   আজও নাকি ঘুরে বেড়ান। শিশুহন্তা অশ্বথামার মুক্তি নেই, শান্তিও নেই।

মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সাতপুরা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত আসিরগড় ফোর্ট। এই কেল্লাতেই নাকি আজও বাস করেন অশ্বথামা। এই কেল্লার শিবমন্দিরে প্রতিদিন নাকি পুজো করেন অশ্বথামা। রোজ সকালে এই মন্দিরে দেখা যায় টাটকা ফুল আর আবির শিবলঙ্গের কাছ রাখা। কে সবার আগে রোজ এখানে পুজো করে যান, তা কেউ প্রত্যক্ষ করেনি। হাজার হাজার বছর ধরে শিবপুজো করে অশ্বথামা তাঁর পাপস্খালনের চেষ্টা করছেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা ছিলেন এই গুরু দ্রোণ। যুদ্ধে তাকে ঠেকানো যাচ্ছিলো না কোনভাবেই। বিপাকে পড়লেন পঞ্চপাণ্ডব। পরামর্শের জন্য তারা শরণাপন্ন হলেন শ্রীকৃষ্ণের। তিনি পান্ডবদের বলেন, কোন একভাবে যদি গুরু দ্রোণের কানে তার পুত্র অশ্বত্থামার মৃত্যুসংবাদ পৌঁছানো যায়, তাহলে তাকে হারানো সম্ভব। সুচতুর শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শ মতে পান্ডবদের মেঝ ভাই ভীম তখন একটা হাতির নামকরণ করেন ‘অশ্বত্থামা’। তারপর বড়ভাই যুধিষ্ঠিরের সামনে হত্যা করেন সেই হাতিকে। গুরু দ্রোণ যুধিষ্ঠিরের কথা খুব বিশ্বাস করতেন। তাই যুধিষ্ঠির দ্রোণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অশ্বত্থামা হতঃ ইতি গজ’ (অশ্বত্থামা নামক হাতি নিহত হয়েছে)। ‘ইতি গজ’ শব্দটি আস্তে উচ্চারণ করাতে গুরু দ্রোণ মনে করেন বুঝি তার প্রাণপ্রিয় পুত্র আর নেই! পুত্রশোকে তখন অস্ত্র ও বেঁচে থাকার ইচ্ছা ত্যাগ করেন তিনি। এই সুযোগে পান্ডবদের বীর ধৃষ্টদ্যুম্ন তাকে হত্যা করেন।

যুদ্ধের সময় ভগবান শিবের দেওয়া চন্দ্রহ্রাস খড়্গ নিয়ে রাতের আঁধারে পাণ্ডবশিবিরে হানা দিলেন দ্রোণপুত্র। পঞ্চপাণ্ডব ভেবে একে একে হত্যা করলেন দ্রৌপদীর পাঁচ ঘুমন্ত সন্তান প্রতিবিন্ধ্য, সুতসোম, শ্রুতকীর্তি, শতানীক আর শ্রুতসেনকে। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে ঘুমের মধ্যেই মস্তকচ্ছেদন করলেন শিখণ্ডীর। অশ্বত্থামার রোষে প্রাণ হারালেন আরও অনেক যোদ্ধাই!
পঞ্চ পাণ্ডব তখন কৃষ্ণের সঙ্গে রয়েছেন গঙ্গাতীরে। উপভোগ করছেন যুদ্ধজয়ের সাফল্য। তার মধ্যেই এই খবর যখন তাঁদের কানে এল, দ্রৌপদীর কান্নায় ভারি হয়ে উঠল চরাচর।এবার অবশ্য অর্জুন চুপ করে বসে থাকেননি। শপথ নিলেন, তিনি এর শেষ দেখে থাকবেন। রথে চড়ে তাই ধাওয়া করলেন অশ্বত্থামাকে।
অশ্বত্থামা যখন দেখলেন অর্জুন আসছেন, তখন তিনি প্রয়োগ করলেন ব্রহ্মশির অস্ত্র। এই অস্ত্রে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারত। বিপদ বুঝে কৃষ্ণ থামিয়ে দিলেন সেই অস্ত্র। কিন্তু, কোথাও একটা সেটা নিক্ষেপ করতেই হত। অবশেষে পরামর্শ করে সেই অস্ত্র নিক্ষেপ করা হল অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভে।
উত্তরার সন্তানকে পরে অবশ্য প্রাণ দান করেছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু, অশ্বত্থামাকে ক্ষমা করেননি। অভিশাপ দিয়েছিলেন, এতগুলো অন্যায় হত্যার জন্য তিনি মৃত্যুর মাধ্যমে মুক্তি পাবেন না। কলিযুগের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে। চাইলেও আত্মহত্যা করে জ্বালা জুড়াতে পারবেন না তিনি।
আর, ক্ষতিপূরণ হিসেবে অশ্বত্থামা নিজের হাতে মাথার মণি কেটে দেন কৃষ্ণকে। কর্ণের যেমন কবচ-কুণ্ডল, অশ্বত্থামারও তেমনই ওই মণি! কৃষ্ণ দেবতা কৃষ্ণ তাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন অশ্বত্থামা সারাজীবন দুঃখ দুর্দশা ভোগ করবে। অভিশাপ দিয়েছিলেন এক ভয়ংকর অভিশপ্ত জীবনের। যে জীবন থেকে মুক্তি নেই কোন। মৃত্যু কামনা করবেন তখন অশ্বত্থামা। কিন্তু মৃত্যু আসবে না তার জন্য। বেঁচে থাকবেন তিনি অনন্তকাল। ধুঁকে ধুঁকে। সীমাহীন কষ্ট শরীরে নিয়ে।

আসিরগড় দুর্গ তৈরি হয়েছিল ১৩৭ খ্রিস্টাব্দে। শোনা যায় আশা আহির নামে এক রাখাল বালক নিজের ক্ষমতায় রাজা হয়ে এই দুর্গ নির্মাণ করেন। এই দুর্গই এখন অশ্বত্থামার আবাসস্থল। বিগত ৫০০০ বছর ধরে এখানেই রয়েছেন তিনি। সবার চোখের আড়ালে।
কাহিনি বলে, আসিরগড় দুর্গে এক শিবমন্দির রয়েছে। প্রতি প্রভাতে শিব-উপাসক অশ্বত্থামা সবার আগে সেই মন্দিরে পূজার্চনা করেন। ভোরের আলো ফুটলেই দেখা যায়, শিবলিঙ্গ সাজানো রয়েছে ফুলে, চন্দনে। কিন্তু, কোথা থেকে সেই ফুল-চন্দন এল, কেউ বলতে পারেন না। বলতে পারেন না, কখন এসে অশ্বত্থামা নিত্যপূজা সম্পন্ন করেছেন।রাতের বেলায় এই দুর্গে অনেকেই দেখেছেন দ্রোণপুত্রকে। দেখা গিয়েছে, রক্তাক্ত কপাল নিয়ে তিনি হাহাকার করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুর্গে। কারও সঙ্গে দেখা হলে ক্ষতের জ্বালা জুড়াবার জন্য তিনি হলুদ আর চন্দন ভিক্ষা করেন!

পৃথ্বীরাজ চৌহান, সাধু নারানাপ্পা-সহ আরও অনেকের সাথে অশ্বত্থামার দেখা হওয়ার ঘটনা রয়েছে।

‘হে অশ্বত্থামা, প্রতিটা মানুষের পাপ তুমি তোমার কাঁধে বহন করবে আর তা নিয়ে সমস্ত পৃথিবী ঘুরে বেড়াবে তুমি একা অশরীরী এক প্রেতের মতো। সময়ের শেষ পর্যন্ত কোন ভালোবাসা, সম্মান তোমার জীবনে আর কখনও আসবে না। কোন আশ্রয়, আদর আপ্যায়ন কিছুই নেই তোমার জন্য। নিশ্ছিদ্র একাকীত্ব হবে তোমার সঙ্গী। মানুষ ও সমাজ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হবে তুমি। সারা শরীর জুড়ে এমন ব্যাধি ও ঘা হবে তোমার, যা কোনদিনও সারবে না। সর্বোচ্চ হতভাগ্য জীবন হবে তোমার, অশ্বত্থামা। সময়ের সমাপ্তি পর্যন্ত কোন ভালোবাসা, স্নেহ না জুটুক তোমার জীবনে।

শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপে সে জখম কখনও সারবে না৷ শুধু তাই নয়, ঐ ঘায়ের স্থান কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবে আর তা থাকবে কলিকালের শেষ পর্যন্ত। যতদিন না কলিযুগের শেষে দেবতা বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কিদেবের সাথে তার দেখা হচ্ছে।

অহংকার, পাপ,অপকর্ম,নিজেকে সর্বোচ্চ মনে করার ফলে মহান যোদ্ধা এবং অমরত্ব বর থাকা শর্তেও নিজ কুকর্মের জন্যে অভিশাপ ভোগ করছেন এখনো অশ্বত্থামা।

অশ্বত্থামা র অভিশাপ র কথা পড়ে কেমন লাগল অব্যশই জানাবেন। ধণ্যবাদ

আরও পড়ুন
Share This Article
Facebook Pinterest Whatsapp Whatsapp Telegram Email Copy Link Print
Share
এটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হল?
Love1
Sad0
Cry0
Happy0
Surprise0
Previous Article দ্রৌপদীর অভিশাপ
Next Article ব্রাহ্মণ কাদের বলে?
Leave a comment Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Bharat RitualsBharat Rituals
Follow US
© 2023, Bharat Rituals | তথ্যসূত্রঃ গীতা, পঞ্জিকা, মন্ত্র, পুরোহিত, ইন্টারনেট ইত্যাদি। আমাদের উদ্দেশ্য প্রাচীন ভারতের প্রথা ও সংস্কৃতি কে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত/অপমান/ছোটো করা নয়। আমরা সমস্ত ধর্ম কে সমান শ্রদ্ধা ও সন্মান করি।
adbanner
AdBlock Detected
বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আমরা এই ওয়েবসাইট এর খরচ বহন করে থাকি, আপনি যদি দয়া করে আপনার ব্রাউজারের Adblocker এই সাইটের জন্য বন্ধ রাখেন, খুব উপকৃত হব। ধন্যবাদ
Okay, I'll Whitelist
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?