Bharat RitualsBharat Rituals
  • ভারতীয় প্রথা
    • ভারতীয় প্রথা
    • ভুল-ভ্রান্তি
    • উৎসব
    • দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা
  • শাস্ত্রে বিজ্ঞান
  • মন্দির ও পীঠস্থান
  • পূজা অর্চনা
    • দেব-দেবী
    • পূজা অর্চনা
    • পূজার মন্ত্র
  • অন্যান্য
    • মাইথোলজি
    • মহাপুরুষ
    • শ্লোক ও উক্তি
Search
© 2023 Bharat Rituals. Content are collected from scriptures and internet.
Reading: আসলে তেত্রিশ কোটি দেবতা কারা কারা?
Share
Sign In
0

No products in the cart.

Notification Show More
Aa
Bharat RitualsBharat Rituals
0
Aa
Search
Have an existing account? Sign In
Follow US
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
Bharat Rituals > All Posts > ভুল-ভ্রান্তি > আসলে তেত্রিশ কোটি দেবতা কারা কারা?
ভুল-ভ্রান্তি

আসলে তেত্রিশ কোটি দেবতা কারা কারা?

BR Desk
Last updated: 2023/09/05 at 3:16 PM
BR Desk 514 Views
Share
4 Min Read
SHARE

৩৩ কোটি দেবতা কথাটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।সনাতন মতে ৩৩কোটি দেবতা কে আমরা পুজো করে থাকি। আর এই ৩৩কোটি দেবতা দের কি নাম জানি আমরা? সত্যি কি আছে এই দেবতা গণ? কি বা তাঁদের পরিচয়? আসুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনিই।

Contents
আরও পড়ুনআরও পড়ুন

অনেকেই আমরা ৩৩কোটি দেবতা নিয়ে অনেক মন্তব্য করে থাকি। আমাদের কুসংস্কার বা ভুল ধারণা কাটিয়ে উঠে , সঠিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করা উচিত।বতর্মান যুগে ভুল জেনে কুসংস্কার কে বহন করে নিয়ে যাওয়ার টিক নয়।

হিন্দুদের মুখে শুনে থাকি, হিন্দুর দেবতা তেত্রিশ কোটি । কিন্তু দেখা যায়, বেদে আছে, দেবতা মোটে তেত্রিশটি । কেবল ঋগ্বেদে নয়, শতপথব্রাহ্মণে, মহাভারতে, রামায়ণে ও ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও তেত্রিশটিমাত্র দেবতার কথা উল্লেখ আছে।

আরও পড়ুন

সংস্কৃত শ্লোক এর একটি বাক্য “ত্রয়স্তিমাশতি কোটি” শব্দটি থেকে বোঝানো হয় যে হিন্দু ধর্মের তেত্রিশ কোটি দেবতা রয়েছে। সংস্কৃতে কোটি শব্দের দুটি অর্থ, একটি হল ‘প্রকার’ এবং অপরটি হল ‘কোটি’ (সংখ্যা)। বেদে তেত্রিশ কোটি সংস্কৃত ত্রয়স্তিমাশতি কোটি দেবতা বলতে বেদে তেত্রিশ রকমের দেবতার কথা বলা হয়েছে। শতপথ ব্রাহ্মণ এবং অন্যান্য গ্রন্থে এটি পরিষ্কার ভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে। অথর্ব বেদের দশম অধ্যায় সপ্তম সুক্তের ত্রয়োদশ শ্লোকে বলা হয়েছে।

যস্য ত্রয়স্ত্রিংশদ্ দেবা অঙ্গে সর্বে সমাহিতাঃ।

স্কম্মং তং ব্রুহি কতমঃ স্বিদেব সঃ।।

মানে হলো- পরম ঈশ্বরের প্রভাবে এই তেত্রিশ জন দেবতা বিশ্বকে বজায় রেখেছে।

শুরুতে ঋক্ বেদে তিন (৩) রকমের দেবতার কথা বলা হয়েছিল। এনারা ছিলেন- অগ্নি, বায়ু এবং সূর্য্য। ঋক্ বেদে পরবর্তী অধ্যায়ে সেই দেবতার সংখ্যা বেড়ে তেত্রিশ (৩৩) রকমের হয়। এনাদের মধ্যে এগারো জন পৃথিবীতে, এগারো জন বায়ুতে এবং বাকি এগারো জন মহাকাশ বা অন্তরিক্ষে অবস্থান করছেন।

তেত্রিশ দেবতার নাম–

১. দ্বাদশ আদিত্য
২. একাদশ রুদ্র
৩. অষ্ট বসু
৪. অশ্বিনীকুমারদ্বয়

দ্বাদশ আদিত্য : কশ্যপ ঋষি এবং দক্ষ প্রজাপতির কন্যা দিতির সন্তানরা আদিত্য। ভাগবত পুরাণ অনুসারে এরা হলেন বিবস্বান, অর্যমা, পূষা, ত্বষ্টা, সবিতা, ভগ, ধাতা, বিষ্ণু (আদিত্যদের মধ্যে প্রধান), বরুণ, মিত্র, ইন্দ্র, অংশুমান। দ্বাদশ আদিত্য, সূর্য্যেরই বিভিন্ন রূপ। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে দ্বাদশ আদিত্য দ্বাদশ মাসে দ্বাদশ রাশিতে বিচরণ করেন।

একাদশ রুদ্র : কশ্যপ ঋষি এবং গোমাতা সুরভির এগারো জন সন্তানকে বলা হয় একাদশ রুদ্র। মৎস্যপুরাণ মতে একাদশ রুদ্রের নাম হল — কপালী, পিঙ্গল, ভীম, বিরুপাক্ষ, বিলোহিত, শাস্তা, অজপদ, অহিব্রধ্ন, শম্ভু, চণ্ড, ভব। মহাদেব শিবের বিভিন্ন রূপ এই একাদশ রুদ্র। এরা সংহারের দেবতা। পদ্মপুরাণ মতে এরা হলেন —মন্যু, মনু, মহিনস, মহান, শিব, ঋতুধ্বজ, উগ্ররেতা, ভব, কাল, বামদেব, ধুতব্রত। মহাভারতের মতে এরা হলেন —অজ, একপাদ, অহিব্রধ্ন, পিনাকী, অপরাজিত, ত্র্যম্বক, মহেশ্বর, বৃষাকপি, শম্ভু, হরণ, ঈশ্বর। বৃহদারণ্যক উপনিষদে একাদশ রুদ্রকে বলা হয়েছে জীবের চালিকা শক্তি। পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং জীবাত্মা।

অষ্ট বসু:  কশ্যপ ঋষি এবং দক্ষকন্যা বসুর আটজন সন্তানকে একত্রে বলা হয় অষ্ট বসু। বহ্নিপুরাণ মতে এরা হলেন —অপ (জল), ধ্রুব (ধ্রুব তারা), সোম (চন্দ্র), অনিল (বায়ু), অনল (অগ্নি), ধর (পৃথিবী), প্রত্যুষ (সূর্য্য) ও প্রভাষ (নক্ষত্র) । বৃহদারণ্যক উপনিষদ মতে অষ্ট বসুরা হলেন—পৃথিবী, অগ্নি, বায়ু, অন্তরীক্ষ, আদিত্য, চন্দ্রমা, নক্ষত্র এবং দ্যৌ। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের অধিপতি দেবতা অষ্ট বসু ।

অশ্বিনীকুমারদ্বয়: অশ্বিনীকুমারদ্বয় বৈদিক দেবতা এবং দেবতাদের চিকিৎসক। বিবস্বান (সূর্য্য) ও শরণ্যু, নামান্তরে সংজ্ঞা দেবীর যমজ পুত্রদ্বয়। এই দুই ভ্রাতার মধ্যে অগ্রজের নাম নাসত্য এবং অনুজের নাম দস্র। মহাভারতের আদিপর্বে অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের বিষয়ে উল্লেখ আছে। পান্ডুর কনিষ্ঠ পত্নী মাদ্রীর গর্ভে অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের পুত্র নকুল ও সহদেবের জন্ম হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে অশ্বিনী নক্ষত্রের অধিপতি দেবতা অশ্বিনীকুমারদ্বয়।

তেত্রিশ কোটি দেবতার আসল রহস্য জেনে আপনাদের কিরম লাগলো অবশ্যই আমাদের Comment Box এ জানাবেন। ধন্যবাদ

আরও পড়ুন

Share This Article
Facebook Pinterest Whatsapp Whatsapp Telegram Email Copy Link Print
Share
এটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হল?
Love0
Sad0
Cry0
Happy0
Surprise0
Previous Article মা মঙ্গলচণ্ডী ব্রতের মন্ত্র
Next Article প্রেমের দেবতা কে? কামদেব কি সত্যিই প্রেমের দেবতা!
Leave a comment Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Bharat RitualsBharat Rituals
Follow US
© 2023, Bharat Rituals | তথ্যসূত্রঃ গীতা, পঞ্জিকা, মন্ত্র, পুরোহিত, ইন্টারনেট ইত্যাদি। আমাদের উদ্দেশ্য প্রাচীন ভারতের প্রথা ও সংস্কৃতি কে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত/অপমান/ছোটো করা নয়। আমরা সমস্ত ধর্ম কে সমান শ্রদ্ধা ও সন্মান করি।
adbanner
AdBlock Detected
বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আমরা এই ওয়েবসাইট এর খরচ বহন করে থাকি, আপনি যদি দয়া করে আপনার ব্রাউজারের Adblocker এই সাইটের জন্য বন্ধ রাখেন, খুব উপকৃত হব। ধন্যবাদ
Okay, I'll Whitelist
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?