Bharat RitualsBharat Rituals
  • ভারতীয় প্রথা
    • ভারতীয় প্রথা
    • ভুল-ভ্রান্তি
    • উৎসব
    • দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা
  • শাস্ত্রে বিজ্ঞান
  • মন্দির ও পীঠস্থান
  • পূজা অর্চনা
    • দেব-দেবী
    • পূজা অর্চনা
    • পূজার মন্ত্র
  • অন্যান্য
    • মাইথোলজি
    • মহাপুরুষ
    • শ্লোক ও উক্তি
Search
© 2023 Bharat Rituals. Content are collected from scriptures and internet.
Reading: বিয়ের পর শাঁখা পরার রীতি এল কিভাবে?
Share
Sign In
0

No products in the cart.

Notification Show More
Aa
Bharat RitualsBharat Rituals
0
Aa
Search
Have an existing account? Sign In
Follow US
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
Bharat Rituals > All Posts > ভারতীয় প্রথা > বিয়ের পর শাঁখা পরার রীতি এল কিভাবে?
ভারতীয় প্রথা

বিয়ের পর শাঁখা পরার রীতি এল কিভাবে?

BR Desk
Last updated: 2021/05/11 at 12:20 AM
BR Desk 233 Views
Share
4 Min Read
why-married-women-wera-sakha
SHARE

হিন্দু বাঙালি বিবাহিত নারীর এক অবিচ্ছেদ্য অলংকার শাঁখা পলা নোয়া। যদিও আধুনিক কালে অনেক বিবাহিতাই শাঁখা পলা পরাকে বাধ্যতামূলক করেন না, তথাপি শাঁখা পলা হিন্দু বাঙালি সধবা নারীর অন্যতম ভূষণ বলে আজও মনে করা হয়।

Contents
শাঁখার উৎপত্তিব্রহ্মবৈবরতপুরাণ মতঅন্যান্য মতপ্রচলিত সামাজিক কারণআধ্যাত্মিক মতব্রিটিশ লেখক জেমস ওয়াইজ লিখেছেনআরও পড়ুন

শাঁখার উৎপত্তি

শাঁখা তৈরি হয় শঙ্খ থেকে আর শঙ্খ এক প্রকার জলজ জীব। এ শঙ্খ পাওয়া  যায় শ্রীলঙ্কা ও চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীরে। একসময় মাদ্রাজ থেকে আমদানি করা হলেও বর্তমানে শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করে এ দেশে শঙ্খের চাহিদা মেটানো হয়। শাঁখা ও শঙ্খজাত অলঙ্কার তৈরির জন্য ব্যবহৃত শঙ্খের মধ্যে তিতপুটি, রামেশ্বরি, মতি-ছালামত, পাটি, গারবেশি, কাচ্চাম্বর, ধলা,রায়াখাদ, খগা, সুর্কিচোনা, ঝাঁজি,দোয়ানি, জাডকি, কেলাকর,তিতকৌড়ি,গড়বাকি, সুরতি, দুয়ানাপাটি, আলাবিল উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে তিতকৌড়ি শঙ্খসবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের এবং আলাবিলকেনিম্ন মানের শঙ্খ। হাতের শাঁখার মধ্যেও বিভিন্ন নামের শাঁখা রয়েছে। এর মধ্যেসাতকানা, পাঁচদানা, তিনদানা, বাচ্চাদার, সাদাবালা, আউলাকেশী উল্লেখযোগ্য। সৌখিনদের জন্য রয়েছে সোনা বাঁধাই শাঁখা। এসবের মধ্যে টালি, চিত্তরঞ্জন, সতীলক্ষী, জালফাঁস, লতাবালা, মোটলতা,তাঁরপেচ ইত্যাদি। আমাদের দেশে যেসব শঙ্খ আমদানি করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম জাতি, পাটি, ধলা, কাঞ্চন, কড়ি।

ব্রহ্মবৈবরতপুরাণ মত

ব্রহ্মবৈবরতপুরাণে আছে, শঙ্খাসুরের স্ত্রী তুলসী দেবী ছিলেন ভগবান নারায়ণে বিশ্বাসী এক সতীসাধ্বী নারী। আর শঙ্খাসুর ছিল ভগবানবিমুখ অত্যাচারী। তার (শঙ্খাসুর) পাপের শাস্তিস্বরূপ তাকে বধ করার পর ভারত মহাসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। স্বামীব্রতী তুলসী দেবী তা সইতে না পেরে স্বামী এবং নিজের অমরত্বের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। ভগবান প্রার্থনা মঞ্জুর করে তার দেহ থেকে তুলসী গাছ এবং সমুদ্রে হত্যা করাস্বামীর রক্ত বা অস্থি থেকে শঙ্খ বা শাঁখার উৎপত্তি করেন। তুলসী দেবীর ধর্মপরায়ণতায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান দু’জনকেই ধর্মীয় কাজে নির্ধারণ করে দেন। সেই থেকে পতিব্রতা তুলসীকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তুলসী ও শাঁখা ব্যবহারের প্রচলন হয়।  মনে করা হয়, সেই থেকেই হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে বিবাহিত সম্পর্কের মাঙ্গলিক চিহ্ন হিসাবে শাঁখার প্রচলন হয়।

অন্যান্য মত

আর এক কাহিনী সূত্রে জানা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব পাঁচ হাজার বছর আগে (মহাভারতের যুগে) শাঁখার ব্যবহার শুরু হয়৷ দাক্ষিণাত্যে প্রায় দু’হাজার বছর আগে থেকেই এ শিল্পের প্রচলন ছিল। তামিলনাড়ুর প্রাচীন রাজধানী কোরকাই এবং কায়েলের ভগ্নস্তুপ থেকে শঙ্খশিল্পের প্রাচীন নির্দশন আবিষ্কৃত হয়েছে। মাদ্রাজ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত শঙ্খশিল্পে।

প্রচলিত সামাজিক কারণ

হিন্দু বাঙালি বিবাহিতা নারী শাঁখার সাথে নোয়াও পরে। এগুলো পড়ার পেছনে  বেশ কিছু কারণ আছে। নোয়া হল লোহার চুড়ি।খুব সম্ভবত ‘লোহা’-ই অপভ্রংশে ‘নোয়া’ হয়েছে। সামাজিক কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, শাঁখা বিবাহিতা হিসেবে কোন নারীকে চিহ্নিত করে দেয়, অন্য পুরুষের লোভাতুর, লোলুপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।

আধ্যাত্মিক মত

আধ্যাত্মিক কারণ হিসবে দেখলে শাঁখার সাদা রং- টা সত্ত্ব গুণ, সিঁদুরের লাল রং -রজঃগুণ এবং লোহার কাল রং- তমো গুণের প্রতীক। সংসার আগলে রাখতে নারীকে একদিকে যেমন চরিত্রে, মনে সাত্ত্বিক হয়ে উঠতে হয়, তেমনি সে রজঃগুণ অর্থাৎ, রাজার গুণ – যথা কামনা, বাসনার বাইরেও নয়।আর তমো গুণ (ক্রোধ, ঈর্ষা) মানুষ মাত্রই থাকে। সংসারী গৃহিণীকে এই তমোগুণ কাটিয়েই সংসারধর্ম পালন করতে হয়।

ব্রিটিশ লেখক জেমস ওয়াইজ লিখেছেন

এ তো গেল পুরাণের বর্ণনা। ব্রিটিশ লেখক জেমস ওয়াইজের লেখা থেকে জানা যায়- বল্লাল সেনের সঙ্গে দক্ষিণ ভারত থেকে বাংলাদেশে শাঁখারিরা এসেছিলেন। অর্থাত্‍, আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগেও শাঁখার প্রচলন ছিল। তবে তার পিছনে কোনও ধর্মীয় কারণ ছিল কিনা- সে বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে।

আরও পড়ুন

TAGGED: shakha
Share This Article
Facebook Pinterest Whatsapp Whatsapp Telegram Email Copy Link Print
Share
এটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হল?
Love0
Sad0
Cry0
Happy0
Surprise0
Previous Article shri krishna saar vaani ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী
Next Article adyapeath temple আদ্যাপীঠ: আদ্যমায়ের মন্দির
Leave a comment Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Bharat RitualsBharat Rituals
Follow US
© 2023, Bharat Rituals | তথ্যসূত্রঃ গীতা, পঞ্জিকা, মন্ত্র, পুরোহিত, ইন্টারনেট ইত্যাদি। আমাদের উদ্দেশ্য প্রাচীন ভারতের প্রথা ও সংস্কৃতি কে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত/অপমান/ছোটো করা নয়। আমরা সমস্ত ধর্ম কে সমান শ্রদ্ধা ও সন্মান করি।
adbanner
AdBlock Detected
বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আমরা এই ওয়েবসাইট এর খরচ বহন করে থাকি, আপনি যদি দয়া করে আপনার ব্রাউজারের Adblocker এই সাইটের জন্য বন্ধ রাখেন, খুব উপকৃত হব। ধন্যবাদ
Okay, I'll Whitelist
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?