হিন্দু ধর্মে বিবাহিত ভারতীয় মহিলারা পায়ে আংটি (Toe ring) পরে থাকে। পায়ের আংটি পরে থাকার প্রতীক হলো এই না যে তারা বিবাহিত বরং এর পেছনে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও আছে। বেদ অনুসারে এটি কে পায়ে পরার ফলে মহিলাদের মা’সিক চক্র নিয়মিতভাবে হয়। ভারতবর্ষের শহর এলাকায় এই প্রবণতা অনেক কমে গেছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আজও এর মহত্ত্ব আছে। পায়ের আংটি কে সর্বদা ডান অথবা বাঁ পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে পড়া হয়ে থাকে।
ভারতীয় পরম্পরা অনুসারে প্রত্যেক মহিলারা বিবাহের পর পায়ে আংটি পরে থাকে। এটি কেবল মাত্র বিবাহিত মহিলারাই পড়ে থাকে, অবিবাহিত মেয়েদের পায়ের আংটি পরা উচিত নয়।
পায়ের আংটির সাথে বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক
এই আঙুল থেকে একটি বিশেষ স্নায়ু গর্ভাশয় হয়ে সোজা হৃৎপিণ্ডে ও ডিম্বাশয়ে চলে যায়। ফলে এই পায়ে একটি আংটি গর্ভাশয়কে মজবুত করে, রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রিত করে গর্ভাশয়কে রাখে সতেজ, জরায়ু কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপকে সঞ্চালন করে। এর কারনে মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়মিত ভাবে হয়, ফলে মহিলাদের গর্ভধারণের সময় কোন সমস্যা হয় না।