সে অনেককাল আগের কথা। দৈত্যরাজ হিরন্যকশিপু রাজ্যে আদেশ জারি করেছেন কেউ বিষ্ণুর নাম নিতে পারবে না। ভয়ে সবাই প্রায় মেনে নিল রাজাদেশ। কিন্তু কিছু বিষ্ণু ভক্ত এই আদেশ মানল না। রাজা তাদের হত্যা করে বিষ্ণু ভক্তদের শেষ করে দিলেন।
কিন্তু তাকে হার মানতে হল নিজের ছেলে প্রহ্লাদের কাছে। তাকে হাতির পায়ের তলায় ফেলে মারতে চাইলেন, ব্যার্থ হলেন। বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা, জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা সব ব্যর্থ হল।
রাজার এই বিপদে এগিয়ে এগিয়ে এলো রাজার বোন “হোলিকা”। ব্রহ্মার বরে হোলিকা আগুনে পুড়বে না। হোলিকা ভাবল সে প্রহ্ললাদকে আদর করে কোলে নিয়ে ঢুকবে আগুনে। ব্রহ্মার বরে সে অক্ষত থাকবে আর প্রহ্লাদ পুড়ে মারা যাবে।
পরিকল্পনা মত হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে ঢুকে গেল জলন্ত অগ্নিকুন্ডে। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে দেখল হোলিকা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল আর প্রহ্লাদ বেরিয়ে এল আগুন থেকে। আসলে হোলিকা ব্রহ্মার সতর্ক বাণী ভুলে গিয়েছিল। সেই সতর্ক বাণী ছিল যে হোলিকা যদি তার প্রাপ্ত ক্ষমতা কোন শিশু বা নারীর অনিষ্ট করার জন্য ব্যাবহার করে তবে সে এই আগুনে না পোড়ার ক্ষমতা হারাবে।
তার পর থেকে হোলির আগের দিন হয় হোলিকা দহন উৎসব। কোথাও এটাকে “হোলিকা দহন” আবার কোথাও বা “নেড়া পোড়া” বলে।