Bharat RitualsBharat RitualsBharat Rituals
  • ভারতীয় প্রথা
    • ভারতীয় প্রথা
    • ভুল-ভ্রান্তি
    • উৎসব
    • দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা
  • শাস্ত্রে বিজ্ঞান
  • মন্দির ও পীঠস্থান
  • পূজা অর্চনা
    • দেব-দেবী
    • পূজা অর্চনা
    • পূজার মন্ত্র
  • অন্যান্য
    • মাইথোলজি
    • মহাপুরুষ
    • শ্লোক ও উক্তি
Search
© 2023 Bharat Rituals. Content are collected from scriptures and internet.
Reading: হাওড়া শিবপুরের দশমহাবিদ্যা মায়ের মন্দির/dushmahavidya
Share
Sign In
0

No products in the cart.

Notification
Font ResizerAa
Bharat RitualsBharat Rituals
0
Font ResizerAa
Search
  • ভারতীয় প্রথা
    • ভারতীয় প্রথা
    • ভুল-ভ্রান্তি
    • উৎসব
    • দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা
  • শাস্ত্রে বিজ্ঞান
  • মন্দির ও পীঠস্থান
  • পূজা অর্চনা
    • দেব-দেবী
    • পূজা অর্চনা
    • পূজার মন্ত্র
  • অন্যান্য
    • মাইথোলজি
    • মহাপুরুষ
    • শ্লোক ও উক্তি
Have an existing account? Sign In
Follow US
© 2022 Foxiz News Network. Ruby Design Company. All Rights Reserved.
Bharat Rituals > All Posts > দেব-দেবী > হাওড়া শিবপুরের দশমহাবিদ্যা মায়ের মন্দির/dushmahavidya
দেব-দেবীভারতীয় প্রথা

হাওড়া শিবপুরের দশমহাবিদ্যা মায়ের মন্দির/dushmahavidya

Bharat Rituals Editor
Last updated: November 27, 2024 11:07 PM
Bharat Rituals Editor 40 Views
Share
10 Min Read
SHARE

হাওড়া শিবপুরের দশমহাবিদ্যা মায়ের মন্দির। মায়ের মন্দিরের ভিতরে বিগ্ৰহ পরস্পর বিন্যাস হলো মাঝখানে মা কালী,নিচের বামদিকে থেকে পরপর শিব,মা তারা, মা ষোড়শী, মা ভুবনেশ্বরী, মা ভৈরবী, মা ছিন্নমস্তা, মা ধূমাবতী, মা বগলা, মা মাতঙ্গী, মা কমলা, মা সতী। দশমহাবিদ্যা অর্থাৎ মা শক্তির দশ রূপ। এই বিশ্বের পরম আধার আদি পরাশক্তির দশ অংশ। সর্বপ্রথম দশ মহাবিদ্যার উল্লেখ পাওয়া যায় দেবী ভাগবতে। ভারতবর্ষের বুকে যখন বৌদ্ধধর্ম বিলীয়মান হতে শুরু করে তখন হিন্দু ধর্মের মা শক্তির নবদুর্গা রূপ এবং কিছু কিছু বজ্রযানী বৌদ্ধদেবীর ধারণা মিলিয়ে মূলতঃ উত্তর ও পূর্ব ভারতের বুকে আবির্ভূতা হন এই দশমহাবিদ্যা। মহা বিদ্যা কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল পরম জ্ঞান । দেবীর এই দশ রূপ পরম জ্ঞানের প্রতীক এবং এনাদের সাধন করলে মোক্ষলাভ অর্জিত হয় এবং পরম জ্ঞান মেলে। তাই এনাদের বলা হয় দশমহাবিদ্যা। এই দশমহাবিদ্যার কথা প্রথম পাওয়া যায় ষষ্ঠ শতকে যখন বজ্রযানী তন্ত্র হিন্দুধর্মের এক অংশ হয়ে উঠতে থাকে। মোটামুটি খ্রিস্টীয় সপ্তদশ আর অষ্টাদশ শতকে বাঙলা দেশে মোটামুটি তন্ত্রমতের বিস্তারের সাথে সাথে দশমহাবিদ্যার খ্যাতিও তার শিখরে পৌঁছায়।

এবার মায়ের এই দশ রূপের ওপর একটু আলোকপাত করি।কিন্তু তার আগেও পুরাণে এই দশমহাবিদ্যার সম্পর্কে এক চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রজাপতি দক্ষ যখন যজ্ঞের জন্য দেবলোক আর মৃত্যুলোকের অধিপতিদের নিমন্ত্রণ করেন,তখন মহাদেবপত্নী সতীও জিদ করতে লাগেন তাঁর পিতা দক্ষের এই যজ্ঞ দেখতে যাওয়ার। কিন্তু শিব তাঁকে নিষেধ করেন। তখন সতী অত্যধিক ক্রোধিত হন,এবং তাঁর তৃতীয় নয়ন উন্মীলিত হয়ে অগ্নিবর্ষণ করতে থাকে। তিনি ক্রোধে কৃষ্ণাঙ্গী ভীষণা মহাকালীতে পরিণত হন। তাঁর এই মূর্তি এতোটাই ভয়ঙ্কর যে,স্বয়ং মহাদেব তা দেখে ভীত হয়ে পড়েন এবং তিনি পলায়ন করতে উদ্যত হন। তখন মহাকালী দশরূপে বিভক্তা হয়ে মহাদেবকে দশ দিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং অবশেষে মহাদেব শিব তাঁর পত্নীকে পিতাগৃহে যাবার অনুমতি প্রদান করেন।

এই দশ রূপই হল দশমহাবিদ্যা , 1) কালী : সময় এবং সৃষ্টির দেবী মা কালিকা বা মা কালীর নাম শোনেন নি,এরকম খুব কম লোকই আছেন। ইনি শাক্তদের পরম উপাস্য দেবী। ইনি চতুর্ভুজা,কৃষ্ণাঙ্গী ও নগ্নিকা। ইনি শ্মশানচারিণী ও এনার বাহন শৃগাল। এনার সাথে মিল রয়েছে নবদুর্গার কালরাত্রীর। কালী কাল অর্থাৎ সময়ের প্রতীক,ইনি মুণ্ডমালিনী,ইনি রুষ্ট হলে প্রলয়নৃত্য করেন তাঁর স্বামী মহাকালের মতোই।কালী মন্দির বলতেই আসে হিমাচল প্রদেশের ভীমকালী মন্দির,কাঙড়ার চামুণ্ডা মন্দির এবং বাঙলার দক্ষিণেশ্বর এবং কালীঘাটের কালী মন্দিরের কথা।

2) তারা : ইনি কিন্তু প্রকৃত হিন্দুধর্মের দেবী নন। এনার উৎপত্তি বজ্রযানী বৌদ্ধধর্ম এবং ইনি সেখানে যিনি নির্বাণ প্রদান করেন সেই বোধিসত্ত্বের সঙ্গিনী। বৌদ্ধধর্ম মতের মতো,এখানেও ইনি মুক্তি প্রদান করেন এবং তাঁর ভক্তকে রক্ষা করেন। তান্ত্রিক মতে,ইনি সেই পরম জ্ঞান প্রদান করেন যা তার ভক্তকে নির্বাণ বা মুক্তির দিকে নিয়ে যায়। ইনি ব্রহ্মাণ্ডের পরম শক্তির উৎস। ইনিই আদিশক্তি। সমুদ্রমন্থনের পর স্বয়ং মহাকাল তার আরাধনা করেন এবং তাতে সন্তুষ্ট হয়ে মা তারা তাঁকে পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠে মা তারার মন্দির রয়েছে। মা এখানে মা মুণ্ডমালিনী নামে পরিচিতা।এছাড়াও ওড়িশার রায়পুরে এবং হিমাচল প্রদেশের সিমলায় মা তারার মন্দির দেশবিখ্যাত।

3)ষোড়শী : ইনি ত্রিপুরাসুন্দরী নামেও পরিচিতা। ইনি শ্রীকুলের অধিষ্ঠাত্রী । অপর নাম তান্ত্রিক পার্বতী। ইনি মা কালী ও মা তারার মতো ভয়ঙ্করী নন। ত্রিলোকের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী ইনিই। ইনি মোক্ষদায়িনী নামেও পরিচিতা এবং মণিদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ত্রিপুরা উপনিষদের মতে,ইনিই শক্তির আদিরূপ শ্রীবিদ্যা। তাঁর অপর নাম ললিতা,কামেশ্বরী এবং রাজ রাজেশ্বরী। এখানে ত্রিপুরা বলার অর্থ হল তাঁর চক্র ত্রিকোণাকার যেটা তন্ত্রমতে যোনীর প্রতীক। অর্থাৎ তিনির পরম অধিষ্ঠাত্রী, কামের দেবী তিনিই। আবার তিনি ত্রিপুরা কারণ,তিনি ত্রিগুণাতীত ,সত্ত্ব ,রজঃ আর তমঃ এর ঊর্ধ্বে। মানস,বুদ্ধি আর চিত্ত তিনটির মধ্যেই তাঁর অবাধ বিচরণ। বর্তমানে ত্রিপুরার উদয়পুরের মাতাবাড়িতে মা ষোড়শীর মন্দির রয়েছে। দেবী এখানে ত্রিপুরেশ্বরী নামে পরিচিতা।

4) ভুবনেশ্বরী : দশ মহাবিদ্যার মধ্যে চতুর্থা ইনি মা দুর্গারই এক প্রতিরূপ।ইনি ভুবন অর্থাৎ সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বরী। হিন্দু শাক্তদের দেবী ইনি। ইনি এতোই তেজস্বিনী যে এনাকে নবগ্রহ এবং ত্রিমূর্তিও ব্রহ্মা,বিষ্ণু আর মহেশ্বর কোনো কাজ থেকে বিরত করতে পারেন না। ইনি ত্রিভুবনের (স্বর্গ,মর্ত্য আর পাতালের) রাণী আর চিন্তামণিগৃহে তাঁর নিবাস। তিনি যোগিনী দ্বারা পরিবৃতা হয়ে থাকেন সবসময়। তাঁর কন্ঠে রত্নখচিত পুষ্পহার ,তিনি চতুর্ভুজা ,রক্তবর্ণা ও রক্তবর্ণের বসন ও অলঙ্কার পরিহিতা। তাঁর দুই ডান হাত রয়েছে অভয় আর বরদা মুদ্রায়। তিনি তাঁর স্বামী ত্র্যম্বক ভৈরবের সঙ্গে পঞ্চপ্রেতাসনে বিরাজমানা। দক্ষিণ ভারতে শ্রীবিদ্যার উপাসকেরা তাঁকেই আরাধনা করেন। তিনি কেরলের শাক্তদেরও পূজিতা দেবী। মণিপল্লবম এ তাঁর মন্দির রয়েছে। বাঙলার চন্দননগরেও দেবী ভুবনেশ্বরীর মন্দির রয়েছে। ওড়িশায় সম্বলেশ্বরী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ইনিই।

5)ভৈরবী : দশমহাবিদ্যার এই দেবী হিন্দু শাক্ত ধর্মমত থেকে উদ্ভূতা। ইনি কুণ্ডলিনীর অধিষ্ঠাত্রী এবং ভৈরবের সঙ্গিনী। ইনি ত্রিপুরা ভৈরবী নামেও পরিচিতা। ত্রিপুরা বলতে এখানে ইচ্ছাশক্তি ,জ্ঞানশক্তি এবং ক্রিয়াশক্তির কথা বলা হয়েছে। ভয়ঙ্করী এই বিদ্যার নিবাসস্থল তিব্বতের কৈলাস। ত্রিপুরা ভৈরবীর নিবাস মূলাধার চক্রতে যেখানে ত্রিপুরা সুন্দরীর নিবাস সহস্রর চক্রতে। ইনি চতুর্ভুজা এবং পদ্মের ওপর আসীন। তন্ত্রে কোনো যোগিনী যখন সিদ্ধিলাভ করেন,তখন তিনিও ভৈরবী রূপে পরিচিতা হন।

6)ছিন্নমস্তা : ইনি প্রচণ্ডা চণ্ডিকা নামেও পরিচিতা। হিন্দু শাক্তদের দেবী কালী আর তিব্বতী বজ্রযানী দের দেবী বজ্রযোগিনী এই দুইয়ের সম্মেলনে ছিন্নমস্তার আবির্ভাব। বজ্রযোগিনীর একটি রূপ ছিন্নমুণ্ডা ,যাঁর দুই সঙ্গী মেখলা এবং কনখাল। এই দেবীর কিছুটা ভিন্নরূপ ছিন্নমস্তা। ইনি প্রচণ্ড রক্ততৃষ্ণায় নিজের মস্তক ছিন্ন করে তা থেকে নিজেই রক্তপান করেন। এই ছিন্নমুণ্ডা আবার বজ্রযানীদের চুরাশী মহাসিদ্ধার মধ্যে একজন।যাই হোক,আসি দেবী ছিন্নমস্তার কথায়। বজ্রযোগিনী ছাড়াও এনার সাথে মিল রয়েছে বজ্রযানীদের দেবী বজ্রবরাহীরও। বজ্রযানী বৌদ্ধধর্ম থেকে উদ্ভূত হলেও কেউ কেউ তাঁর মিল খুঁজে পান বৈদিক ধর্মের দেবী নৃতির সঙ্গে। আবার কেউ কেউ মিল খুঁজে পান দাক্ষিণাত্যের কোরাবাই য়ের সঙ্গে। যাই হোক,দশমহাবিদ্যার মধ্যে তিনিই সবথেকে আতঙ্কের উদ্রেক করেন। ইনি নগ্নিকা,বন্য আর রক্ততৃষ্ণায় ভয়ঙ্করী। বলা হয়,নরসিংহ এই ছিন্নমস্তার শরীর থেকেই নির্গত হন। তাঁর দুই সঙ্গিনী ডাকিনী আর বর্ণিনী । বলা হয়, তাঁর এই নিজের মস্তক খড়্গ দ্বারা ছিন্ন করে রক্তপান অর্থাৎ তিনিই খাদ্য আর তিনিই খাদক প্রকৃতির মাঝে বৈপরীত্যের প্রতীক। ইহা প্রকৃতির প্রতিসাম্যকেই প্রকাশিত করে। তাঁর সহস্র নামের মধ্যেও রয়ে গেছে বৈপরীত্যের ছোঁয়া। তিনিই প্রচণ্ড চণ্ডিকা ,আবার তিনিই সর্বানন্দ প্রদায়িনী। তিনিই ভয়ঙ্করী,আবার তিনিই আনন্দময়ী। তিনি যেমন শ্মশানবাসিনী,তেমনই তাঁর অপররূপ শাকম্ভরী,অন্নপূর্ণা। তাঁর মধ্যেই বিরাজ করছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বৈপরীত্য। সেজন্যই তো তাঁর পায়ের তলায় কাম ও রতি বিপরীত রতিতে শয়ান। ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার রাজরাপ্পায় ছিন্নমস্তা মন্দির দেশবিখ্যাত। বাঙলার বরাহনগরেও দেবী ছিন্নমস্তার মন্দির রয়েছে।

7)ধূমাবতী : ইনি অলক্ষ্মী রূপেও পরিচিতা। ইনি বিধবা এবং মৃত্যুর দেবী। ইনি বৃদ্ধা এবং অশুভ নিয়ে আসেন। শ্মশানে বিচরণকারিণী এই ভয়ঙ্কর দেবীর বাহন কাক। দশমহাবিদ্যার মধ্যে ইনিই পরম অশুভের প্রতীক। মহাপ্রলয়ের সময় এই দেবীর আবির্ভাব ঘটে এবং বলা হয় যে,দেবী দুর্গা শুম্ভ আর নিশুম্ভকে পরাস্ত করার সময় দেবী ধূমাবতীর সাহায্য নিয়েছিলেন। পুরাণে রয়েছে এক অদ্ভূত কাহিনী এই দেবী ধূমাবতীকে ঘিরে। মহাদেবপত্নী সতী যখন তাঁর পিতা প্রজাপতি দক্ষ মহাদেবের অপমান করায় যজ্ঞের হুতাশনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দেন,তখন সেই আগুনের ধোঁয়া থেকে আবির্ভূতা হন কৃষ্ণবর্ণা ধূম্রময়ী ধূমাবতী। আরেক কাহিনী আছে আরোও বিচিত্র। শিবপত্নী পার্বতী একদিন মহাদেবের কাছে ক্ষুধার্ত হয়ে আহার প্রার্থনা করেন। তৎক্ষণাৎ মহাদেব তা দিতে অসমর্থ হলে তিনি ক্ষুধায় কাতর হয়ে মহাদেবকেই ভক্ষণ করেন। পরক্ষণেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে মহাদেবকে মুক্তি দেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গিয়েছে। রুষ্ট হয়ে মহাদেব পার্বতীকে অভিশাপ দেন এক বৃদ্ধা কুদর্শনা বৃদ্ধাতে পরিণত হবার যার দর্শনেই মানুষের জীবনে অশুভ নেমে আসে। ফলস্বরূপ আবির্ভূতা হন ধূমাবতী। ধূমাবতীর তাৎপর্য এই যে,যখন পুরুষের বিনাশ ঘটে,তখন শক্তি তার অদৃশ্যরূপে বিরাজমান থাকে। প্রকৃতির মধ্যেই লীন হয়ে থাকে। আবার ধূমাবতী তাঁর ভক্তদের সিদ্ধি এবং মোক্ষ প্রদান করেন। সাধারণ মানুষ তাঁকে এড়িয়ে গেলেও রাজরাপ্পা,বারাণসী এবং মধ্যপ্রদেশের পীতাম্বর পীঠে দেবী ধূমাবতীর মন্দির রয়েছে।

8) বগলামুখী : ইনি উত্তর ভারতে কল্যাণী বা পীতাম্বরী মা নামেও পরিচিত। ইনি তাঁর ভক্তের শত্রুদের পক্ষাগাতগ্রস্ত করতে সক্ষম। ইনি পীতবর্ণা এবং সিদ্ধি আর ঋদ্ধি প্রদান করেন। কামাখ্যা মন্দিরে ইনি পূজিতা হন। ইনি তাঁর দণ্ড দিয়ে মোহ আর বিভ্রান্তি দূর করে তাঁর ভক্তদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলন করেন।এনার বাহন শবদেহ। 9) মাতঙ্গী : কলাবিদ্যা,জ্ঞান এবং শিক্ষার এই দেবী মাতা সরস্বতীরই তান্ত্রিক রূপ। এনার বাহন তোতাপাখি,এবং ইনিই বীণা বাদনরতা। ইনিই বাগদেবী,ইনিই সঙ্গীতের দেবী। ইনি রক্তবসনা এবং এনার গলায় গুঞ্জার মালা। ইনি দ্বিভুজা এবং একহাতে নরমুণ্ড এবং অপরহস্তে তরবারি। ষোড়শী এই দেবী পীবরোন্নতবক্ষা এবং রক্তবসনা,এনার গায়ের বর্ণ হরিৎ যা পরম জ্ঞানের প্রতীক।মুণ্ডমালা অনুসারে,বিষ্ণুর বুদ্ধাবতার এই মাতঙ্গীর শরীর থেকেই নির্গত হন।

10) কমলা : দশমহাবিদ্যার এই দশম মহাবিদ্যা মহর্ষি ভৃগুর কন্যা। তিনি পদ্নপুষ্পের ওপর আরূঢ়া এবং বলা হয়,তিনিই মা লক্ষ্মীর তান্ত্রিক প্রতিরূপ । তাঁর এই পদ্মফুল পবিত্রতার প্রতীক। তিনি তাঁর ভক্তদের সাফল্য এবং সম্পদ প্রদান করেন। তিনি চতুর্ভুজা,তাঁর দুই হাতে পদ্মপুষ্প,এক হাত রয়েছে অভয়মুদ্রায় এবং আরেক হাত রয়েছে বরদামুদ্রায়। তিনিই সম্পদ,উন্নতি এবং সৌভাগ্য প্রদান করেন।

দশমহাবিদ্যার মন্ত্র —

কালীরূপং মহেশানি সাক্ষাৎ কৈবল্যদায়িনী।।

১|তারকত্বাৎ সদাতারা তারিণী চ প্রকীর্তিতা।।

২।শ্রীদাত্রী চ সদা বিদ্যা ষোড়শী পরিকীর্তিতা।।

৩।ভৈরবী দুঃখহন্ত্রী চ যমদুঃখ বিনাশিনী।।

৪।ভুবনানাং পালকত্বাৎ ভুবনেশী প্রকীর্তিতা।।

৫।ত্রিশক্তি কালদা দেবী ছিন্না চৈব সুরেশ্বরী।।

৬।ধূমরূপা মহাদেবী চতুর্বগপ্রদায়িনী।।

৭।ব-কারে বারুণীদেবী গ-কারে সিদ্ধিস্মৃতা। ল-কারে পৃথিবী চৈব চৈতন্য মে প্রকীর্তিতা।।

৮। সর্বাপত্তারিণী দেবী মাতঙ্গী করুণাময়ী।।

৯।বৈকুণ্ঠবাসিনী দেবী কমলা ধনদায়িনী।।

১০।এতেঃ দশমহাবিদ্যাঃ সিদ্ধবিদ্যাঃ প্রকীর্তিতঃ।।

TAGGED: Dashmhavidya
Share This Article
Facebook Pinterest Whatsapp Whatsapp Telegram Email Copy Link Print
Share
এটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হল?
Love0
Sad0
Cry0
Happy0
Surprise0
Previous Article তুই নাকি মা দয়াময়ী / Tui Naki Maa Dayamoyee
Next Article জগদ্ধাত্রী স্তোত্রম – Jagatdhatri Stotram
- Advertisement -

Most Popular

জগন্নাথ দেবের প্রনাম মন্ত্র , জগন্নাথ স্তোত্রম, জগন্নাথদেব এর গায়ত্রী মন্ত্র
পূজার মন্ত্র
তারা মায়ের ধ্যান মন্ত্র – Tara Maa Dhyan Mantra
পূজার মন্ত্র
Surya Mantra
সূর্য প্রণাম মন্ত্র – জানুন সূর্য প্রনামের সর্বস্ব
পূজার মন্ত্র
মা লক্ষ্মীর ১০৮ নাম
মা লক্ষ্মীর ১০৮ নাম
দেব-দেবী

Upcoming Rituals

Durga Puja Calendar 2024 / দুর্গা পূজার তারিখ
দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা ভারতীয় প্রথা
কলকাতার মা শ্যাম সুন্দরী / জীবন্ত কালী কেনো বলে শ্যামসুন্দরীকে
দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা ভারতীয় প্রথা
চন্দন যাত্রা কেনো পালন করা হয়
উৎসব দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা ভারতীয় প্রথা
নরক চতুর্দশী কেনো পালন করা হয়
দিনকাল, অনুষ্ঠান ও ঘটনা ভারতীয় প্রথা
Bharat RitualsBharat Rituals
Follow US
© 2023, Bharat Rituals | তথ্যসূত্রঃ গীতা, পঞ্জিকা, মন্ত্র, পুরোহিত, ইন্টারনেট ইত্যাদি। আমাদের উদ্দেশ্য প্রাচীন ভারতের প্রথা ও সংস্কৃতি কে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত/অপমান/ছোটো করা নয়। আমরা সমস্ত ধর্ম কে সমান শ্রদ্ধা ও সন্মান করি।
adbanner
AdBlock Detected
বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আমরা এই ওয়েবসাইট এর খরচ বহন করে থাকি, আপনি যদি দয়া করে আপনার ব্রাউজারের Adblocker এই সাইটের জন্য বন্ধ রাখেন, খুব উপকৃত হব। ধন্যবাদ
Okay, I'll Whitelist
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?