চন্দনা-যাত্রা একটি উৎসব যা তিন সপ্তাহ ধরে চলে। প্রখর গ্রীষ্মের সূর্যের সময় দেবতাদের শীতল রাখতে, ভক্তরা রাধা মাধব এবং অন্যান্য দেবতাদের উপর চন্দনের পেস্ট (চন্দন) প্রয়োগ করে। শিশু এবং তীর্থযাত্রী সহ সমস্ত ভক্তকে দেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য চন্দনা পিষানোর সুযোগ দেওয়া হয়।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সত্যযুগের অবসান ঘটিয়ে ক্রেতা যুগের সুচনা হয়। অক্ষয় তৃতীয়া হলো চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি, অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি, অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। উৎকলখণ্ডে বর্ণিত আছে, শ্রীজগন্নাথদেব রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে বৈশাখী শুক্লা অক্ষয় তৃতীয়াতে সুগন্ধি চন্দন দ্বারা জগন্নাথের অঙ্গে লেপন করার নির্দ্দেশ দিয়েছিলেন। সেদিন থেকে শুরু হয় চন্দন যাত্রা।গ্রীষ্ম ঋতুতে শ্রীহরির অঙ্গে কর্পূর চন্দন লেপন করলে ভগবান শ্রীহরি প্রীত হন।
আমাদের লেখা কেমন লাগলো অবশ্যই comment box এ জানাবেন। ধন্যবাদ
সংগৃহীত