আসামের প্রধান উৎসব বিহু । শীতের শেষে পালিত হয় এই উৎসব। কোথাও এদিন পূজিত হন সূর্যদেব, কোথাও পালিত হয় ফলস কাটা ও নতুন ফসল বপন করার উৎসব। অসমের লোকেরা ভোগালী বিহু উৎসব পালন করেন। এই উৎসব মাঘ বিহু বা মাঘ ডোমাহি উৎসব নামেও পরিচিত।বছরে সূর্য ১২টি রাশির মধ্য দিয়ে যায়। সেই দিনগুলো পালিত হয় সংক্রান্তি। সূর্য এদিন ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। সে কারণে এই দিন পালিত হয় মকর সংক্রান্তি । সংক্রান্তির দিনটি অসমে অগ্নি দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। সেখানে নতুন ফসল কাটা হয় ।মাঘ বিহু উৎসবে মাঠে আগুন জ্বালিয়ে উৎসব পালনের রীতি রয়েছে অসমে। অসমের জনপ্রিয় বিহু নাচ ও গানে উৎসবে মেতে ওঠেন সকোলে।বিহু উৎসবে ফসল কাটার উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এই সময়ে সেখানকার মানুষ বাঁশ ও পাতা দিয়ে কুঁড়েঘর তৈরি করে। এই উৎসবের প্রথমদিনটিকে বলা হয় উরুকা। এই উরুকা উদযাপনে মানুষ এই বাঁশ ও পাতা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরে দিন যাপন করেন। রাতও কাটান সেখানে। এই সময়ে মাছ ধরারও রীতি রয়েছে। মাঠে আগুন জ্বালিয়ে উৎসব পালন করা হয়।এই উৎসব এ বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করা হয়।ও সকল কে দেওয়া হয়।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এই মাঘ বিহু উৎসবে একসঙ্গে মেতে ওঠেন।বিহু শব্দটি এসেছে বিশু থেকে। বিশুর অর্থ শান্তির ডাক। বিহুর প্রধান আকর্ষণ হল পিঠে। চাল গুঁড়ো দিয়েইপিঠে বানানো হয় অসমে।বিহু উৎসবে অসনবসীরা পিঠে, নাড়ু, তিলের পিঠে, ঘিলা পিঠে, সুতুলি পিঠে, হেঁচ পিঠে, ডেকা পিঠে, ভুরভুরী পিঠে তৈরি করেন। তাছাড়া, চিড়ে, সন্দেশ, মুড়ি, খৈ বিতরণ করা হয়। আসামের জাতীয় উৎসব।
ধন্যবাদ