অপবিত্র পাঠ মন্ত্র — অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সৰ্ব্বাবস্থাং গতোঽপি বা। যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তর শুচিঃ ।।
বিষ্ণু স্মরণ মন্ত্র — তদ্ বিষ্ণু পরমং পদম সদা পশ্যন্তি সুরয় দিবিব চক্ষুরততম। নমঃ মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব হৃদি । মাধব স্মরন্তি সাধব সর্ব কার্যেষু শ্রী মাধব শ্রী মাধব শ্রী মাধবায় নমঃ।।
বিশ্বকর্মা পূজার সংকল্প মন্ত্র — কোশাতে বা কুশীতে কৃষ্ণতিল, হরিতকী, জল, গন্ধ, পুষ্প ও কুশের ত্রিপত্র লইয়া উত্তর বা পূৰ্ব্বমুখে আসনে বসিয়া সঙ্কল্প করিবে। যথা— বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য ভাদ্রে মাসি অমুকে পক্ষে অমুক তিথৌ ভাদ্রাশ্বিন সংক্রান্তৌ অমুক গোত্রঃ শ্রীঅমুক দেবশর্ম্মা (পরার্থে অমুক গোত্রস্য অমুক দেবশর্ম্মণঃ যজমানের অমুক গোত্রঃ শ্রীঅমুক দেবশর্ম্মা পুরোহিতের) শ্রীবিষ্ণু প্রীতিকামঃ গণপত্যাদি দেবতা পূজাপূর্ব্বক শ্রীশ্রীবিশ্বকৰ্ম্মা পূজা কৰ্ম্মাহং করিষ্যে কুশীটির জল ঈষৎ নৈর্ঝত্ কোণে ফেলিয়া সর্ব্বসমেত কুশীটি তামার টাটে উপুড় করিয়া দিয়া একটি গন্ধপুষ্প লইয়া—এতে গন্ধপুষ্পে সঙ্কল্পসূক্তায় নমঃ বলিয়া তাহার উপর দিয়া ঘণ্টা বাজাইতে বাজাইতে স্ব-স্ব বেদোক্ত সঙ্কল্পসূক্ত পাঠ করিবে।
সামবেদীয় সঙ্কল্পসূক্ত — ওঁ দেবো বো দ্রবিণোদাঃ পূর্ণাং বিবষ্ট্যা সিচম্। উদ্ধা সিঞ্চধ্বমুপবা পূণধ্বমাদিদ্বো দেব ও হতে ।
যজুর্ব্বেদীয় সঙ্কল্পসূত্র — ওঁ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদুসুপ্তস্য তথৈবেতি। দূরং গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকম্। তন্মে মনঃ শিব সঙ্কল্পমস্তু।
ঋবেদীয় সঙ্কল্পসূত্র— ওঁ যা গুং গূরা সিনীবালী যা রাকা যা সরস্বতী। ইন্দ্রাণীমহব উতয়ে বরুণানীং স্বস্তয়ে।
বীজ মন্ত্র — বাং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
বিশ্বকর্মার ধ্যান মন্ত্র — ওঁ দংশপাল মহাবীর সুচিত্রকর্ম্ম কারকঃ। বিশ্বকৃৎ বিশ্ববৃক্ • ধ্যান- ত্বং চ বাসনা মান দণ্ডধৃক্।
বিশ্বকর্মার প্রণাম মন্ত্র —দেবশিল্পিন্ মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধকঃ। বিশ্বকৰ্ম্মণ নমস্তুভ্যং সৰ্ব্বাভীষ্টং প্রদায়ক৷৷
বিশ্বকর্মার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র — ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে করজোরে নিচের মন্ত্রগুলি পাঠ করবেন।
দেবশিল্পীন্ মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধকঃ। পূজাং গৃহাণ বিধিবৎ কল্যাণং কুরু মে সদা৷৷ ১ ৷৷
প্রনাম করে বিশ্বকর্মার চরণে বা ঘটে বিশ্বকর্মার পুষ্পাঞ্জলি দিবেন, তারপর আবার ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে হাতজোড় করে দ্বিতীয় মন্ত্রটি পাঠ করবেন।
আয়ুৰ্যশঃ বলং দেহি শিল্পে দেহি শুভাং মতি। ধনং দেহি যশো দেহি বিশ্বকৰ্ম্মণ প্রসীদ মে৷৷ ২৷৷
আবার প্রনাম করে বিশ্বকর্মার চরণে বা ঘটে পুষ্পাঞ্জলি দিবেন, তারপর আবার ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে হাতজোড় করে তৃতীয় মন্ত্রটি পাঠ করবেন।
শিল্পাচার্য্যং নমস্তুভ্যং নানালঙ্কার ভূষিতম্। মম বিঘ্নবিনাশায় কল্যাণং কুরু মে সদা ৷৷ ৩৷৷
এইভাবে বিশ্বকর্মার চরণে বা ঘটে তিনবার পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করবেন এবং তারপর ভগবান বিশ্বকর্মার প্রনাম মন্ত্র পাঠ পূর্বক প্রণাম করবেন।
হোমের মন্ত্র – ওম্ শিল্পাচার্য্য বিশ্বকর্মণে স্বাহা ইদম্ বিশ্বকর্মণে।
বিসর্জ্জন মন্ত্র —আচারবশতঃ শ্রীবিশ্বকর্মা পূজার পরের দিন, সংক্ষেপে শ্রীবিশ্বকর্মার পূজা করিয়া দধি, খৈ ইত্যাদি উৎসর্গ করিয়া, ভোগ ও আরতি কর্ম্ম করিয়া, ঘট ও প্রতিমা নাড়িয়া বলিবে— ওঁ শ্রীবিশ্বকৰ্ম্মন্ ক্ষমস্ব সংবৎসর ব্যতীতে তু পুনরাগমনায় চ৷৷
শান্তিমন্ত্ৰ—
ওঁ ঋচং বাচং প্রপদ্যে, মনো যজুঃ প্রপদ্যে, সামপ্রাণং প্রপদ্যে, চক্ষুঃ শ্রোত্রং প্রপদ্যে, রাগো যঃ সহজো ময়ি, প্রাণাপানৌ যন্মে ছিদ্রং চক্ষুষো হৃদয়স্য ব্যতিতীর্ণং বৃহস্পতিৰ্ম্মে দধাতু শন্নো ভবতু ভুবনস্য যস্পতিঃ।
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ স্বস্তিনস্তার্নোঽরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতিৰ্দ্দদাতু ৷৷ ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ৷৷
অন্তরীক্ষঃ শান্তিঃ, বনস্পতয়ঃ শান্তিঃ, ওষধয় শান্তিঃ, সর্ববা রোগাদি পচ্ছান্তি শান্তি, গ্রাহপীড়দি শান্তি, শান্তিরেব শান্তিঃ। ওম্ শান্তিঃ ওম্ শান্তিঃ ওম্ শান্তিঃ।
বিশ্বকর্মা পূজা সমুরণ হলে শেষে দক্ষিনান্ত করিয়া বিসর্জন করিবেন। এবং শান্তি জল ছড়া দেবেন সকলের মাথায় মাথায়
ধন্যবাদ।
সংগৃহিত
আমাদের লেখা কেমন লাগলো অবশ্যই comment এ জানাবেন।