মন্দিরটি চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্বকারী গুপ্ত রাজবংশের যুগে নির্মিত বলে মনে করা হয়। মন্দিরটি গুপ্ত আমলের স্থাপত্যের উৎকর্ষের একটি সুন্দর উদাহরণ। মন্দিরটি একটি তিনতলা কাঠামো যার চার কোণে একটি বৃহৎ কেন্দ্রীয় শিখর (গম্বুজ) এবং চারটি ছোট শিখর রয়েছে। মন্দিরের দেয়ালগুলি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীর দৃশ্য চিত্রিত করে জটিল খোদাই দিয়ে সজ্জিত।
এই মন্দিরটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত আসেন। মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হল ‘সূর্য মন্দির’, যা সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি উন্মুক্ত মন্দির। মন্দির থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। মন্দিরে হনুমান, শিব, গণেশ, দুর্গা এবং বিষ্ণুর মতো আরও বেশ কিছু দেবতা রয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের এদালহাতু গ্রামে অবস্থিত সূর্য মন্দিরটি স্থাপত্যের দিক থেকে এক বিস্ময়। মন্দিরটি একটি বিশাল রথের আকারে নির্মিত, যা সূর্য দেবতাকে উৎসর্গীকৃত। মন্দিরের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মন্দিরের নিখুঁত কারুকাজ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। প্রতি বছর এখানে সূর্য মন্দির মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য উদযাপন।
এই স্থাপত্যের নিদর্শনটি সবুজ লন দিয়ে ঘেরা। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকর্ষণীয় এবং দর্শনার্থীদের সান্ত্বনা দেয়। সূর্য মন্দিরের আশেপাশে একটি পবিত্র পুকুর রয়েছে যার পরিষ্কার জল রয়েছে এবং লোকেরা এই পুকুরে পবিত্র স্নান করে এই বিশ্বাস করে যে এই পবিত্র পুকুরে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে পবিত্র হবে।সূর্য মন্দির হল ১৮টি চাকা বিশিষ্ট একটি বিশাল যান যা সাতটি ঘোড়া দ্বারা চালিত হয়। মন্দিরের দেয়ালগুলি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীর দৃশ্য চিত্রিত করে জটিল খোদাই দিয়ে সজ্জিত।
সংগৃহীত


