একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় কালী পূজার।কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন কাঠামো পুজো করা হয়। দেবীকে সাজানো হয় ২০০ ভরী রূপো ও ১০০ ভরী সোনার।মায়ের মুখ মন্ডল ও দেহে মুকুট, চাঁদ মালা, মল রুপোর তৈরী ও জিহবা, ত্রিনেত্র, নাক,ভুরু, ও চন্দন আঁকা সোনার তৈরী।
84 বছর আগের কথা নবদ্বীপের রাস উৎসবে গিয়েছিলেন নৈহাটির বাসিন্দা ভবতোষ চক্রবর্তী। সেখানে বিশাল প্রতিমা দেখে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করেন যে কালীপুজো করবেন।
তবে এখানে মা কালী কালী রূপে নন,পূজিত হন বড়মা রূপে। এই মায়ের মূর্তি ১৪ হাত লম্বা অর্থাৎ ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। এখানের অভিনবত্ব এখানে যে নৈহাটির কোনো প্রতিমার উচ্চতা এর থেকে বড় হয় না। আর এই বড়মার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে।বৈষ্ণবমতে, দক্ষিণাকালীরূপে পূজিতা হন ‘বড়মা’। তাই কোনওরকম বলিদানের প্রচলন নেই এই পুজোয়। প্রতিষ্ঠাতার নামেই একসময় এই পুজোর নাম ছিল ‘ভবেশ কালী’৷ উচ্চতার কারণেই পরবর্তীকালে তা পরিচিতি পায় ‘বড়মা’ নামে। ভক্তরাই প্রতিমা সাজিয়ে তোলেন। পুরনো ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে আজও মায়ের ভোগ আসে সেই চক্রবর্তী বাড়ি থেকে।
পুজোর সময়ে অঢেল খিচুড়ি, পোলাও রান্না হয়। এত বড় একটা পুজোর আয়োজনে কোনোরকম চাঁদা নেওয়া হয় না। শুধুমাত্র ভক্তদের দান করা অর্থেই পুজো সম্পন্ন করা হয়। শুরুতে এই কালীর নাম ভবেশ বাবুর নাম অনুসারে ভবেশ কালী বলেই পরিচিত ছিল।
১৯৭০ সাল পর্যন্ত এলাকার যুবকরাই বড়মাকে কাঁধে করে বিসর্জন দিতেন কিন্তু, দেবীর উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এখন সেই রীতি বদলেছে।কথিত আছে নৈহাটির বড়মার কাছে শ্রদ্ধা ভরে কিছু প্রার্থনা করলে সেই মনস্কামনা পূর্ণ করেন দেবী তাই প্রতি বছর কালী পুজো উপলক্ষে এখানে অসংখ্য মানুষ আসেন তাদের মনোস্কামনা নিয়ে।
ধন্যবাদ
