জ্যোতিষশাস্ত্র মতে অশুভ চন্দ্রের প্রতিকার হিসেবে মুক্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রত্নবিদ্যা অনুসারে যাদের চন্দ্র অশুভ বা দুর্বল, তারা মুক্তো পরতে পারেন। চাঁদ আমাদের মন ও মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। মনকে শান্ত করতে এবং মনকে স্থিতিশীল করতে মানুষ এই পাথর পরিধান করে।
মুক্তা পাথর ব্যবহারে ব্যবহারকারীর মন শান্ত হওয়া, চোখের দৃষ্টি প্রখর হওয়া, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাওয়া, পারিবারিক জীবনে শান্তির বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন উপকার পেতে পারেন।
বিশেষ করে যে সকল মানুষের মাথা খুব গরম থাকে, হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে যায় তাদের জন্য মুক্তা পাথর ব্যবহার খুব উপকারী।
চন্দ্র গ্রহের সকল খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে মুক্তা পাথর সাহায্য করতে পারে।
গলার সমস্যা, চোখের সমস্যা এবং ডাইরিয়া জনিত সমস্যায় মুক্তা পাথর চন্দ্রের খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করতে পারে।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি এবং ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মুক্তা পাথর।
বিশ্বাস করা হয় যে মুক্তা পাথর ব্যবহারে সৌভাগ্য সূচীত হয়।
মুক্তা এর কাজ কি?
ঘুমের মাঝে অশান্তি, অনিদ্রা থেকে মুক্ত পেতে মুক্তা পাথর সাহায্য করতে পারে। মুক্তা পাথর ব্যবহারে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে মেয়েদের ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। বিশ্বাস করা হয় যে মুক্তা পাথর ব্যবহারে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
মুক্তার উৎপত্তি
মুক্তা পাওয়া যায় নদীতে, সমুদ্রে থাকা ঝিনুকের ভেতর থেকে। এক সময় মুক্তা পাওয়া যেত প্রাকৃতিক ভাবে। বর্তমানে মুক্তা চাষ করা হয়ে থাকে। তারপরেও এখনো প্রাকৃতিক নিয়মে নদী ও সমুদ্রর ঝিনুক থেকে মুক্তা পাওয়া যায়। তাই চাষের মুক্তার থেকে অনেক অনেক বেশী মূল্যবান প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া মুক্তা।
মুক্তা পাথর কোথায় পাওয়া যায়
পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে সব রত্নপাথর মাটির নিচে পাওয়া যায় কিন্তু শুধুমাত্র প্রবাল ও মুক্তা পানির নিচে পাওয়া যায়। ভুমধ্যসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, ফ্রান্স আলজেরিয়া, মরক্কো, বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন প্রভৃতি দেশের দ্বীপে ও সমুদ্র প্রবাল পাওয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, ভারত, চীন, জাপান, আমেরিকা, সিংহলদ্বীপ, পারস্য উপসাগর, বার্মা প্রভৃতি স্থানে মুক্তা পাওয়া যায়।
