বর্তমান সমাজে লেবু লঙ্কা ঝোলানো কে নিছক কুসংস্কার বলে চালিয়ে দেয় অনেকেই।কোনো দিন আমরা জানতে চাইনা যে কেনো এই রীতি ছিল বহু বছর আগে থেকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব অতি পুরানো কাহিনী নতুন করে।
ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচলিত বিশ্বাস যে বাড়িতে প্রবেশের পথে লেবু ও লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখলে ভাল হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সারা দেশ জুড়ে এই প্রথা চলে আসছে। এগুলো আমাদের বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশে ও ইতিবাচক প্রভাবকে ত্বরান্বিত করতে প্রভাবশালী উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয় যে, অশুভ শক্তি, অন্যের কুদৃষ্টি দূরে রাখতে লেবু-লঙ্কার তুলনা হয় না। কিন্তু এর নেপথ্যেও যে বৈজ্ঞানিক ও বাস্তুশাস্ত্রসম্মত কারণ রয়েছে, যে কারণে এটি ঘর ও দোকানের বাইরে টাঙানো হয়, তা হয় তো অনেকেই জানেন না । বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে স্বীকার করতেই হয় যে, লেবু-লঙ্কা অত্যন্ত উপকারী, কেন না লেবু স্বভাবগুণে টক এবং লঙ্কা খুবই তিক্ত, লেবুর টক এবং লঙ্কার তীব্রতার মিশ্রিত সুগন্ধ মাছি বা অন্যান্য কীটপতঙ্গ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাই দরজার বাইরে লেবু-লঙ্কা টাঙিয়ে রাখলে তা মশা এবং অনেক পতঙ্গকেই আমাদের ঘরে প্রবেশ করতে না দিয়ে আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে লেবু এবং লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখলে তা মানুষকে খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে লেবুর টক স্বাদ এবং লঙ্কার তীব্র স্বাদ দুষ্ট মানুষের দৃষ্টির ঘনত্বকে ব্যাহত করে। আসলে, আমরা যখন লঙ্কা, লেবুর মতো জিনিস দেখি, তখন এগুলো আমাদের মনের মধ্যে স্বাদ অনুভব করাতে শুরু করে, যার কারণে দুষ্ট মনোভাবসম্পন্ন মানুষ দীর্ঘক্ষণ এ জাতীয় কোনও বিষয়বস্তুর দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিতে পারে না এবং সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে যে বাড়িতে লেবু গাছ থাকে সেখানে নেতিবাচক শক্তি বিরাজ করতে পারে না। এর প্রভাবে আমাদের ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। লেবু এবং লঙ্কার মধ্যে এমন কীটনাশক গুণ রয়েছে, যা আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঝুলিয়ে রাখলে পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এমনটা মনে করা হয় যে, লেবু চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নেতিবাচক শক্তিকে শোষণ করে এবং পরিবেশে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত করতে সহায়তা করে। আমরা এখনো অনেক কিছু কুসংস্কার বলে মনে করি তা সঠিক ভাবে গণনা করলে হয়তো দেখা যাবে তার মধ্যে অনেক কিছু অজানা তথ্য , গুন লুকিয়ে আছে।
আমাদের লেখা কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ