হিন্দু মাইথলোজি একটি শব্দ আমরা অনেকবার শুনেছি, সেই শব্দটা হল “অযোনিসম্ভূতা”।
অযোনিসম্ভূতা শব্দের অর্থ কি?
আমরা যারা জন্মেছি , তারা সকলেই মাতৃগর্ভ থেকেই জন্মেছি। বর্তমান দিনে সেটার দুটি নাম নর্মাল ডেলিভারি অথবা সিজার সেকশন। কিন্তু মাতৃগর্ভ হতে জন্ম নয় অথচ জন্ম এমন জিনিস প্রায় বিরল ই। অযোনিসম্ভূতা শব্দের অর্থ এটাই যার জন্ম মাতৃগর্ভ থেকে নয় অথবা যোনিপথ দিয়ে নয়।
অসুরকুলের দুই অসুর শুম্ভ-নিশুম্ভ যখন তপস্যা করেছিলেন, তখন ব্রহ্মার কাছ থেকে কৌশলে চেয়ে নেন দুটি বর – কোনো দেবতার হাতে মৃত্যু নয়, কেবল অযোনিসম্ভূতা নারীর হাতে মৃত্যু। এখন তারা এটা জানত অযোনিসম্ভূতা নারী একটি অবাস্তব ধারণা আর নারীর সাথে যুদ্ধে তারাই জিতবে।
অসুরদের অত্যাচার যখন বেড়েই চলেছে স্বাভাবিকভাবেই দেবতারা এসে মহাদেবের কাছে আর্জি জানান। এদিকে তখন পার্বতীর গায়ের রঙ কালো বলে কালিকা বলে যেই মহাদেব ডেকেছেন , ব্যস! অমনি রেগে গেলেন দেবী।
চলে গেলেন মানস সরোবরে, আর দেহের সকল কালো কোষ নির্গমন করে হয়ে উঠলেন ফর্সা। আর ঐ কালো কোষগুলি থেকে জন্ম হল কৃষ্ণবর্ণের দেবী কৌষিকী। (কোষ হতে সৃষ্ট)
বর অনুযায়ী ইনিই সেই নারী যিনি অযোনিসম্ভূতা। তাই শুম্ভ-নিশুম্ভ অচিরেই বধ হলেন এনার হাতে। ওনার নামেই আজ কৌষী অমাবস্যা, কৌশিকী নয়।
আজকের এই পূণ্যতিথিতেই মনে করা হয় মা তারা মর্ত্যে এসেছিলেন , তাই সাধকরা এই বিশেষ দিনটি কাজে লাগান সিদ্ধিলাভের জন্য।
আজ বছরের অন্যতম শুভ একটি দিন। সকলের ভালো হোক, সুস্থ থাকুক সকলে, এই কামনা থাকল।
ধন্যবাদ