শাস্ত্রে বলে হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি। ৪০ অধ্যায়ে সেখানে হনুমান চালিশার রচনা করেন রামভক্ত তুলসি দাস। পুরানো নথি ঘেঁটে জানা যায় হনুমান চালিশা লেখার পিছেন যে কারণ রয়েছে। কথিত আছে, তুলসি দাস একদিন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দরবারে গিয়েছিলেন।
সেখানে সম্রাট তাঁকে আদেশ দেন যে তিনি শ্রী রামের দেখা করতে চান। এর উত্তরে কবি জানান, ভক্তের ভক্তি, বিশ্বাস শীর্ষে না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। লেখকের এই উত্তর ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। এর ফল হিসেবে কবি দেওয়া হয় কারাদন্ড। অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করেছিলেন, তাই তিনি লিখেতে শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনায় শব্দের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ আরও বেড়ে যায়। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চালিশা। কথিত আছে, হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি।
তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের শরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে প্রতি শনিবার সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানা উপকার। মানসিক শান্তি ও মনের জোর বৃদ্ধি পায়।
চালিশা পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়
স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়: আজকের দিনে দেখতে পাবেন মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া শুরু করলে স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।
কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা আসে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসে। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে।
মানসিক শান্তি ও মনের জোর বৃদ্ধি পায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়। এর ফলে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে যতই বাঁধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।