বহরমপুরে বিখ্যাত পুজো হলো ভৈরব পূজা।কার্তিক সংক্রান্তিতে ধুমধাম করে ভৈরব পুজো বহরমপুরের ঐতিহ্য।গোটা শহর বেশ কিছু দিন ধরে মেতে থাকে এবং সারা বছর ধরে অপেক্ষা তে থাকে ভৈরব বাবার পূজার জন্য।
ছোট বড় মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা প্রায় শতাধিক। বহরমপুরের খাগড়ার প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন ভৈরব। ভৈরবের নাম থেকে এলাকার নামও ভৈরব তলা।ভৈরবের পুজোর আদি স্থান এখানে নয়। অন্য কোন স্থানে নলখাগড়ার বনেই ছিল আরাধনা ক্ষেত্র। সেই বন কোন কারনবশত পুড়ে যাওয়ার পরে বাবার পুজোর একটি অংশ বর্তমান পুজোর স্থলে এসে পরে। সেই অংশ দেখার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এইখানে ভৈরবের পুজো শুরু করেন।বহরমপুরের খাগড়ার এই ভৈরব বাবা বড় ভৈরব নামে পরিচিত। প্রায় ২২ ফুট উচ্চতার ভৈরব এখানে দেখা যায়। পুজোর দিন ভোর থেকে ভক্তরা মালা দান করেন। বাবা ভৈরবকে পৈতে পরানোর মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। এর পর ভক্তরা উপোস করে গঙ্গাস্নান করে দন্ডী কাটতে কাটতে ভৈরব মন্দিরে এসে পুজো দেন। আবার বিসর্জনের সময়ও কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাবার বিসর্জন হয়।
শুদ্ধ চিত্তে কেউ তার থেকে কিছু চাইলে তিনি তার মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ করেন। পুজো দেওয়ার জন্য তাই লাইন লেগে যায়।
আরেকটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় ভৈরব সৈদাবাদ এলাকার নিম বাবা। এই ভৈরব খুব জাগ্রত বলে মনে করেন এলাকার বাসিন্দারা। নিম গাছের তলায় শুরু হয় পুজো, এবং পুজোর সময় মূর্তির হাতে থাকে নিম ডাল।
সংগৃহীত
আমাদের লেখা পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।