অরণ্যষষ্ঠীর পুরাণ বলে একসময় এক গৃহবধূ তার স্বামীর ঘরে নিজে মাছ খেয়ে নিয়ে দোষ দেন বিড়ালে খেয়েছে। এদিকে বিড়াল হল মা ষষ্ঠীর বাহন। স্বভাবতই দেবীর এধরনের অপবাদ সহ্য হয়নি। এক বিড়ালকে আদেশ দেন ঐ বৌ এর সন্তানকে তুলে আনতে।সন্তান হারানোর পর শোকে পাগল হয়ে যায় সেই মহিলা। শেষমেষ সকলের কথা শুনে বনে গিয়ে দেবীর পূজা করেন তিনি।
প্রসন্ন হয়ে দেবী তাকে সন্তান ফিরিয়ে দেন। এই পূজার আরেক নাম অরণ্যষষ্ঠীর পূজা।এদিকে বৌ মিথ্যা বলায় তার শ্বশুর- শাশুড়ি বৌ এর বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেন।
দেবী ষষ্ঠীর কৃপাতেই জ্যৈষ্ঠের ষষ্ঠীতে ষষ্ঠীপূজার আয়োজন করা হয়, এবং ঐ পূজার দিন জামাই সেই বাড়িতে যান। ভারাক্রান্ত মন হয়ে ওঠে আনন্দভরা । আর সময় যেতে যেতে সেটি পরিণত হল আজকের ” জামাইষষ্ঠী” তে।
যদিও একটা সময় পর্যন্ত বিয়ের পর সন্তান না হলে মেয়েরা বাপের বাড়ি যেতে পারতো না, যা খুব কষ্টকর উভয়পক্ষের জন্যই, জামাইষষ্ঠী সেই সমস্যার সমাধান করল।
আজকেও জামাইষষ্ঠীর দিনে মা ষষ্ঠীর পূজা করা হয় কোথাও কোথাও। তবে আজকের জামাইষষ্ঠী অনেকটা “খাওয়াদাওয়ার দিনে” পরিণত। এর পিছনের কাহিনি অনেকেরই অজানা।
সংগৃহিত
আমাদের লেখা কেমন লাগলো অবশ্যই comment box এ জানাবেন। ধন্যবাদ